কোন দেশে কত IELTS স্কোর লাগে?

আসসালামু আলাইকুম! IELTS পরীক্ষা দেওয়ার কথা ভাবছেন? দারুণ! কিন্তু জানেন কি, কোন দেশে যেতে আপনার কত স্কোর লাগবে? ব্যাপারটা অনেকটা “যেমনি লাউ, তেমনি কদু”-র মতো নয়, বরং দেশ, কোর্স, আর ভিসার ধরনের ওপর নির্ভর করে। তাই, স্বপ্ন পূরণের পথে প্রথম পদক্ষেপটি যেন সঠিক হয়, সেই জন্য আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করবো কোন দেশে যেতে আপনার IELTS-এর স্কোর কত প্রয়োজন।

শুরু করা যাক!

কোন দেশে যেতে কত IELTS স্কোর লাগে: একটি বিস্তারিত গাইড

IELTS (International English Language Testing System) স্কোর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, বিশেষ করে যখন আপনি বিদেশে পড়াশোনা করতে বা স্থায়ীভাবে বসবাস করতে যেতে চান। বিভিন্ন দেশ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তির জন্য আলাদা আলাদা IELTS স্কোর প্রয়োজন হয়। আজকের ব্লগ পোস্টে আমরা আলোচনা করব বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় IELTS স্কোর সম্পর্কে।

IELTS স্কোর কেন গুরুত্বপূর্ণ?

বিদেশে পড়াশোনা, চাকরি, অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য IELTS স্কোর একটি অপরিহার্য যোগ্যতা হিসেবে বিবেচিত হয়। এটি আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণ করে, যা বিদেশি পরিবেশে জীবনযাপন এবং কাজ করার জন্য খুবই জরুরি।

  • শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি: অনেক বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজ তাদের কোর্সে ভর্তির জন্য একটি নির্দিষ্ট IELTS স্কোর চায়।
  • ভিসা আবেদন: বিভিন্ন দেশের ভিসা আবেদনের জন্য IELTS স্কোর একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।
  • চাকরির সুযোগ: কিছু কোম্পানি তাদের কর্মীদের ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা যাচাই করার জন্য IELTS স্কোর দেখতে চায়।

বিভিন্ন দেশে IELTS স্কোর

বিভিন্ন দেশে পড়াশোনা, চাকরি, অথবা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য প্রয়োজনীয় IELTS স্কোর নিচে আলোচনা করা হলো:

কানাডা (Canada)

কানাডা সবসময়ই বাংলাদেশী শিক্ষার্থীদের এবং অভিবাসীদের জন্য একটি পছন্দের গন্তব্য। এখানকার জীবনযাত্রার মান, শিক্ষার সুযোগ, এবং কাজের পরিবেশ অনেক উন্নত। কানাডায় যাওয়ার জন্য আপনার IELTS স্কোর কেমন হওয়া উচিত, তা নির্ভর করে আপনি কি করতে চান তার ওপর।

  • স্টাডি পারমিট (Study Permit): কানাডার কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাধারণত ৬.০ থেকে ৬.৫ স্কোর প্রয়োজন হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য ৬.০ স্কোর গ্রহণযোগ্য হতে পারে, তবে মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য ৬.৫ বা তার বেশি স্কোর প্রয়োজন হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, University of Toronto-তে মাস্টার্স প্রোগ্রামের জন্য সাধারণত ৬.৫ স্কোর লাগে।

  • পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি (Permanent Residency): এক্সপ্রেস এন্ট্রি (Express Entry) প্রোগ্রামের মাধ্যমে যারা কানাডায় স্থায়ীভাবে বসবাস করতে চান, তাদের জন্য IELTS স্কোর একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এই প্রোগ্রামের অধীনে, আপনার CRS (Comprehensive Ranking System) স্কোরের ওপর ভিত্তি করে নির্বাচন করা হয়। সাধারণত, ভালো CRS স্কোর পেতে হলে IELTS-এ কমপক্ষে ৭ বা তার বেশি স্কোর থাকতে হয়।

    • Federal Skilled Worker Program: এই প্রোগ্রামের জন্য CLB (Canadian Language Benchmark) লেভেল ৯ প্রয়োজন হয়, যার মানে IELTS-এর প্রতিটি ব্যান্ডে কমপক্ষে ৭ স্কোর থাকতে হবে।
    • Provincial Nominee Program (PNP): বিভিন্ন প্রদেশের PNP প্রোগ্রামের জন্য আলাদা আলাদা স্কোর প্রয়োজন হয়। কিছু প্রদেশে তুলনামূলকভাবে কম স্কোর প্রয়োজন হলেও, সাধারণত ৬.০ বা ৬.৫ স্কোর লাগে।
  • ওয়ার্ক পারমিট (Work Permit): কানাডায় কাজের ভিসার জন্য IELTS স্কোর সাধারণত প্রয়োজন হয় না, তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তা আপনার ইংরেজি দক্ষতা যাচাই করার জন্য IELTS স্কোর চাইতে পারেন। এক্ষেত্রে, সাধারণত ৬.০ বা ৬.৫ স্কোর প্রয়োজন হতে পারে।

অস্ট্রেলিয়া (Australia)

অস্ট্রেলিয়া তার উন্নত শিক্ষা ব্যবস্থা, মনোরম পরিবেশ, এবং কর্মসংস্থানের সুযোগের জন্য পরিচিত। এখানে পড়াশোনা এবং বসবাসের জন্য একটি নির্দিষ্ট IELTS স্কোর প্রয়োজন হয়।

  • স্টাডি পারমিট (Study Permit): অস্ট্রেলিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ব্যাচেলর বা মাস্টার্স প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য সাধারণত IELTS এ কমপক্ষে ৬.৫ স্কোর থাকতে হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে, বিশেষ করে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (Science and Engineering) বিভাগে ভর্তির জন্য IELTS স্কোর ৭.০ বা তার বেশি চাওয়া হতে পারে। যেমন, Group of Eight বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য ভালো স্কোর থাকতে হয়।

  • স্কিলড ইন্ডিপেন্ডেন্ট ভিসা (Skilled Independent Visa – Subclass 189): এই ভিসার জন্য সাধারণত IELTS-এর প্রতিটি ব্যান্ডে কমপক্ষে ৬ স্কোর থাকতে হয়। তবে, ভালো পয়েন্ট পেতে হলে ৭ বা তার বেশি স্কোর থাকা ভালো।

  • স্কিলড নমিনেটেড ভিসা (Skilled Nominated Visa – Subclass 190): এই ভিসার ক্ষেত্রেও একই রকম স্কোর প্রয়োজন হয়, তবে কিছু কিছু রাজ্যে (যেমন: South Australia) স্কোর কিছুটা কম হলেও চলে।

  • টেম্পোরারি গ্র্যাজুয়েট ভিসা (Temporary Graduate Visa – Subclass 485): এই ভিসার জন্য সাধারণত IELTS-এ ৬.০ স্কোর প্রয়োজন হয়, তবে কোনো ব্যান্ডে ৫.০ এর নিচে থাকা চলবে না।

See Also  IELTS Course by Munzereen Shahid Promo Code - 10 Minute School

যুক্তরাজ্য (United Kingdom)

যুক্তরাজ্য (UK) সবসময়ই শিক্ষার্থীদের জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য। এখানকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত।

  • স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa): ইউকের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য IELTS স্কোর সাধারণত ৬.০ থেকে ৭.০ এর মধ্যে থাকতে হয়। কিছু বিশেষ কোর্সের জন্য, যেমন মেডিসিন বা ল (Medicine or Law), স্কোর আরও বেশি হতে পারে। University of Oxford বা Cambridge-এর মতো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য সাধারণত ৭.০ বা তার বেশি স্কোর প্রয়োজন হয়।

  • ওয়ার্ক ভিসা (Work Visa): ইউকের skilled worker visa-র জন্য IELTS স্কোর সাধারণত B1 level (4.0 – 5.0) প্রয়োজন হয়। তবে, কিছু কিছু পেশার জন্য এর চেয়ে বেশি স্কোর দরকার হতে পারে।

  • ফ্যামিলি ভিসা (Family Visa): ফ্যামিলি ভিসার জন্য IELTS স্কোর A1 level (4.0) প্রয়োজন হয়।

যুক্তরাষ্ট্র (United States)

যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনার জন্য অনেক শিক্ষার্থীই আগ্রহী। এখানে বিভিন্ন ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেগুলোতে ভর্তির জন্য আলাদা আলাদা IELTS স্কোর প্রয়োজন হয়।

  • আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম (Undergraduate Program): যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামে ভর্তির জন্য IELTS স্কোর সাধারণত ৬.০ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে থাকতে হয়।

  • গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম (Graduate Program): গ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের জন্য IELTS স্কোর সাধারণত ৬.৫ থেকে ৭.০ এর মধ্যে প্রয়োজন হয়। কিছু কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিশেষ করে STEM (Science, Technology, Engineering, and Mathematics) ফিল্ডে, স্কোর আরও বেশি হতে পারে।

জার্মানি (Germany)

জার্মানি ইউরোপের অন্যতম জনপ্রিয় শিক্ষা গন্তব্য। ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনোলজি বিষয়ক পড়াশোনার জন্য এটি বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

  • স্টুডেন্ট ভিসা (Student Visa): জার্মানির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য IELTS স্কোর সাধারণত ৬.০ থেকে ৬.৫ এর মধ্যে থাকতে হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, বিশেষ করে ইংরেজি মাধ্যমে পরিচালিত কোর্সের জন্য, স্কোর আরও বেশি হতে পারে।

  • জার্মানিতে কাজের জন্য সাধারণত IELTS স্কোর প্রয়োজন হয় না, তবে আপনার যদি ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা থাকে, তাহলে এটি আপনার সুযোগ বাড়াতে পারে।

অন্যান্য দেশ

উপরের দেশগুলো ছাড়াও, আরও অনেক দেশ আছে যেখানে পড়াশোনা এবং বসবাসের জন্য IELTS স্কোর প্রয়োজন হয়। নিচে কয়েকটি দেশের প্রয়োজনীয় স্কোর উল্লেখ করা হলো:

  • নিউজিল্যান্ড (New Zealand): স্টাডি পারমিট এবং ভিসার জন্য সাধারণত IELTS স্কোর ৬.০ থেকে ৬.৫ প্রয়োজন হয়।
  • আয়ারল্যান্ড (Ireland): বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তির জন্য IELTS স্কোর ৬.০ থেকে ৬.৫ প্রয়োজন হয়।
  • সিঙ্গাপুর (Singapore): স্টাডি এবং ওয়ার্ক পারমিটের জন্য IELTS স্কোর ৬.০ থেকে ৬.৫ প্রয়োজন হয়।

এইগুলো হলো কিছু প্রধান দেশ যেখানে IELTS স্কোর প্রয়োজন হয়। আপনার নির্দিষ্ট গন্তব্য এবং প্রোগ্রামের জন্য প্রয়োজনীয় স্কোর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বা ভিসা কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে খোঁজ নিতে পারেন।

IELTS স্কোর বাড়ানোর উপায়

যদি আপনার কাঙ্ক্ষিত স্কোর না থাকে, তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। সঠিক প্রস্তুতি এবং কৌশল অবলম্বন করে IELTS-এ ভালো স্কোর করা সম্ভব। নিচে কিছু টিপস দেওয়া হলো:

  • নিয়মিত অনুশীলন: প্রতিদিন ইংরেজি পড়া, লেখা, শোনা এবং বলার অভ্যাস করুন।
  • স্যাম্পল টেস্ট: নিয়মিত IELTS-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে স্যাম্পল টেস্ট দিন এবং নিজের দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করুন।
  • মেন্টর বা টিউটর: একজন অভিজ্ঞ মেন্টর বা টিউটরের সাহায্য নিতে পারেন, যিনি আপনাকে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে পারবেন।
  • ভাষা শিক্ষা কোর্স: বিভিন্ন ভাষা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে IELTS প্রস্তুতি কোর্স করানো হয়, যেখানে আপনি যোগ দিতে পারেন।
  • অনলাইন রিসোর্স: অনলাইনে অনেক ওয়েবসাইট এবং অ্যাপ রয়েছে যেগুলো IELTS প্রস্তুতির জন্য খুবই উপযোগী।
IELTS Course by Munzereen Shahid

IELTS Course by Munzereen Shahid

কোর্সটি করে যা শিখবেন:

  • IELTS পরীক্ষা চলাকালে নির্ধারিত সময়ের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে ভালো স্কোর অর্জনের কৌশল
  • IELTS পরীক্ষার প্রত্যেক সেকশনের প্রশ্ন ও উত্তরের ধরন, টাইম ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ টিপস, ট্রিকস ও স্ট্র্যাটেজি
See Also  IELTS Course by Munzereen Shahid Reviewed | 10 Minute School
৳ 5000 ৳ 3500
সম্পূর্ণ কোর্সটি দেখুন
IELTS Traction static 03 1x1 min

Introduction To The Ielts Course By Munzereen Shahid

The IELTS Course by Munzereen Shahid is a comprehensive preparation program. It is designed for both Academic IELTS and General Training IELTS. Guided by Munzereen Shahid, this course helps students achieve their desired IELTS scores.

Overview Of The Course

This course offers an extensive 50-hour curriculum. It includes 54 video lectures, 10 reading and 10 listening mock tests, and 38 lecture sheets. There are also 25 additional video lectures. Students receive a free hardcopy book. They also gain lifetime access to the course content.

The course covers all four sections of the IELTS exam: Reading, Writing, Listening, and Speaking. Weekly Zoom classes provide support for problem-solving. The course also offers detailed guidelines to achieve a 7+ score. Students benefit from advanced vocabulary and speaking techniques.

FeatureDetails
Total Participants42,100
Course Duration50 hours
Video Lectures54
Mock Tests10 Reading and 10 Listening
Lecture Sheets38
Additional Video Lectures25
Free Hardcopy BookYes
SupportFacebook Support Group
AccessLifetime

IELTS স্কোর নিয়ে কিছু সাধারণ ভুল ধারণা

IELTS স্কোর নিয়ে অনেকের মনে কিছু ভুল ধারণা থাকে। এই ধারণাগুলো আপনার প্রস্তুতিতে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। নিচে কয়েকটি সাধারণ ভুল ধারণা এবং তার সঠিক ব্যাখ্যা দেওয়া হলো:

  • ভুল ধারণা ১: IELTS-এ ভালো স্কোর করতে হলে অনেক কঠিন ইংরেজি জানতে হয়।

    • সঠিক ব্যাখ্যা: IELTS মূলত আপনার দৈনন্দিন জীবনে ইংরেজি ব্যবহারের দক্ষতা যাচাই করে। এখানে জটিল ব্যাকরণ বা কঠিন শব্দ ব্যবহারের চেয়ে যোগাযোগ করার ক্ষমতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
  • ভুল ধারণা ২: শুধু বিদেশি শিক্ষার্থীরাই IELTS দেয়।

    • সঠিক ব্যাখ্যা: IELTS শুধু বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য নয়, যারা ইংরেজি ভাষাভাষী দেশে বসবাস করতে বা কাজ করতে চান, তাদের সবার জন্য প্রযোজ্য।
  • ভুল ধারণা ৩: IELTS একবার দিলে সবসময় একই স্কোর থাকে।

    • সঠিক ব্যাখ্যা: IELTS স্কোরের মেয়াদ সাধারণত ২ বছর পর্যন্ত থাকে। এরপর স্কোরটি আর ব্যবহার করা যায় না।
  • ভুল ধারণা ৪: IELTS পরীক্ষার ফরম্যাট মুখস্থ করলেই ভালো স্কোর করা যায়।

    • সঠিক ব্যাখ্যা: পরীক্ষার ফরম্যাট জানা অবশ্যই জরুরি, তবে ভালো স্কোর করার জন্য আপনার ইংরেজি ভাষার ওপর ভালো দখল থাকতে হবে। নিয়মিত অনুশীলন এবং সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া ভালো স্কোর করা সম্ভব নয়।
কোন দেশে কত IELTS স্কোর লাগে?

IELTS পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি কিভাবে শুরু করবেন?

IELTS পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করার জন্য একটি পরিকল্পিত উপায় অনুসরণ করা উচিত। নিচে একটি সাধারণ গাইডলাইন দেওয়া হলো:

  1. লক্ষ্য নির্ধারণ: প্রথমে আপনার লক্ষ্য নির্ধারণ করুন। আপনি কোন দেশে যেতে চান এবং সেই দেশের জন্য আপনার কত স্কোর প্রয়োজন, তা জেনে নিন।

  2. নিজের দক্ষতা মূল্যায়ন: একটি মক টেস্ট দিয়ে নিজের বর্তমান দক্ষতা যাচাই করুন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোন বিভাগে আপনার বেশি দুর্বলতা রয়েছে।

  3. সময় নির্ধারণ: পরীক্ষার জন্য কতদিন সময় হাতে আছে, তা হিসাব করে একটি রুটিন তৈরি করুন। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় পড়াশোনার জন্য বরাদ্দ রাখুন।

  4. উপকরণ সংগ্রহ: IELTS প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় বই, অনলাইন রিসোর্স এবং অন্যান্য উপকরণ সংগ্রহ করুন।

  5. নিয়মিত অনুশীলন: প্রতিদিন ইংরেজি পড়া, লেখা, শোনা এবং বলার অভ্যাস করুন। বিভিন্ন টপিকের ওপর প্রবন্ধ লিখুন এবং বন্ধুদের সাথে ইংরেজি ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করুন।

  6. মক টেস্ট: নিয়মিত মক টেস্ট দিন এবং নিজের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করুন। প্রতিটি মক টেস্টের পর দুর্বলতাগুলো চিহ্নিত করে সেগুলো উন্নতির চেষ্টা করুন।

  7. ফিডব্যাক গ্রহণ: মক টেস্টের ফলাফল এবং অন্যান্য অনুশীলনের মাধ্যমে পাওয়া ফিডব্যাকগুলো গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করুন এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নিন।

  8. শারীরিক ও মানসিক প্রস্তুতি: পরীক্ষার আগের দিন পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে রাখুন। পরীক্ষার হলে শান্ত থাকুন এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে পরীক্ষা দিন।

IELTS স্কোরিং পদ্ধতি

IELTS স্কোরিং পদ্ধতি সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকাটা খুবই জরুরি। IELTS পরীক্ষায় চারটি মডিউল থাকে: Listening, Reading, Writing এবং Speaking। প্রতিটি মডিউলে আলাদাভাবে স্কোর দেওয়া হয়, এবং এই চারটি স্কোরের গড় করে আপনার Overall স্কোর গণনা করা হয়।

See Also  ঘরে বসে Spoken English: মুনজেরিন শহীদ Reviewed - 2025 | 10 Minute school
স্কোরদক্ষতার স্তর
Expert User: ভাষার ওপর সম্পূর্ণ দখল, সাবলীল এবং নির্ভুল ব্যবহার
Very Good User: ভাষার ওপর ভালো দখল, সামান্য ভুল থাকে
Good User: ভাষার ওপর মোটামুটি দখল, কিছু ভুল থাকে তবে যোগাযোগে সমস্যা হয় না
Competent User: পরিস্থিতি অনুযায়ী ভাষা ব্যবহার করতে পারে, তবে কিছু ভুল হয়
Modest User: সীমিত পরিসরে ভাষা ব্যবহার করতে পারে, প্রায়শই ভুল করে
Limited User: শুধুমাত্র পরিচিত পরিস্থিতিতে ভাষা ব্যবহার করতে পারে
Extremely Limited User: শুধুমাত্র খুব সাধারণ বিষয় বোঝে
Intermittent User: খুব বেশি সমস্যা হয় ভাষা বুঝতে ও ব্যবহার করতে
Non-User: ভাষা ব্যবহারে অক্ষম
Did not attempt the test: পরীক্ষা দেননি

IELTS পরীক্ষার ধরন

IELTS পরীক্ষা দুই ধরনের হয়ে থাকে: Academic এবং General Training। আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক মডিউলটি বেছে নিতে হবে।

  • Academic: যারা বিশ্ববিদ্যালয় বা কলেজে পড়াশোনা করতে যেতে চান, তাদের জন্য Academic মডিউলটি প্রযোজ্য। এই মডিউলে সাধারণত একাডেমিক বিষয়গুলোর ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়।

  • General Training: যারা চাকরি বা প্রশিক্ষণের জন্য বিদেশে যেতে চান, তাদের জন্য General Training মডিউলটি প্রযোজ্য। এই মডিউলে দৈনন্দিন জীবনের ওপর ভিত্তি করে প্রশ্ন করা হয়।

IELTS পরীক্ষার রেজিস্ট্রেশন

IELTS পরীক্ষার জন্য রেজিস্ট্রেশন করা খুবই সহজ। আপনি ব্রিটিশ কাউন্সিল (British Council) অথবা আইডিপি (IDP) এর মাধ্যমে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। রেজিস্ট্রেশন করার সময় আপনার পাসপোর্ট এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। এছাড়া, পরীক্ষার ফি পরিশোধ করার জন্য একটি বৈধ ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড থাকতে হবে।

IELTS পরীক্ষার ফি

IELTS পরীক্ষার ফি সাধারণত ১৫,৭৫০ টাকা থেকে ১৬,২৫০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। পরীক্ষার ফি পরিশোধ করার পর আপনি একটি নিশ্চিতকরণ ইমেইল পাবেন, যেখানে আপনার পরীক্ষার তারিখ, সময় এবং ভেন্যু উল্লেখ করা থাকবে।

IELTS পরীক্ষার ফলাফল

IELTS পরীক্ষার ফলাফল সাধারণত পরীক্ষার তারিখ থেকে ১৩ দিনের মধ্যে প্রকাশিত হয়। আপনি অনলাইনে অথবা আপনার রেজিস্ট্রেশন করা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ফলাফল জানতে পারবেন। ফলাফলের একটি হার্ড কপিও আপনাকে দেওয়া হবে, যা আপনি বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।

IELTS স্কোর আপিল

যদি আপনি আপনার IELTS স্কোর নিয়ে সন্তুষ্ট না হন, তাহলে আপনি স্কোর আপিল করতে পারেন। আপিল করার জন্য আপনাকে একটি নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হবে। আপিলের ফলাফল সাধারণত ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে জানানো হয়। যদি আপনার স্কোর বাড়ে, তাহলে আপিলের ফি ফেরত দেওয়া হবে।

IELTS নিয়ে কিছু দরকারি পরামর্শ

  • নিয়মিত ইংরেজি পত্রিকা পড়ুন এবং ইংরেজি সিনেমা দেখুন। এতে আপনার শব্দভাণ্ডার বাড়বে এবং ভাষার ব্যবহার সম্পর্কে ধারণা তৈরি হবে।
  • বন্ধুদের সাথে ইংরেজি ভাষায় কথা বলার অভ্যাস করুন। এতে আপনার জড়তা কমবে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
  • লেখার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত প্রবন্ধ লিখুন এবং অভিজ্ঞ কাউকে দিয়ে সেগুলো মূল্যায়ন করান।
  • শোনার দক্ষতা বাড়ানোর জন্য ইংরেজি গান শুনুন এবং পডকাস্ট অনুসরণ করুন।
  • নিজেকে অনুপ্রাণিত রাখুন এবং আত্মবিশ্বাসের সাথে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিন।

কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা (Frequently Asked Questions – FAQs)

এখানে কিছু সাধারণ প্রশ্ন এবং তাদের উত্তর দেওয়া হলো, যা IELTS পরীক্ষা এবং স্কোর নিয়ে আপনার মনে থাকা দ্বিধা দূর করতে সাহায্য করবে:

  • IELTS স্কোর কতদিন পর্যন্ত ভ্যালিড থাকে?

    • IELTS স্কোর সাধারণত ২ বছর পর্যন্ত ভ্যালিড থাকে। এই সময়ের মধ্যে আপনি আপনার স্কোর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ভিসা আবেদনের জন্য ব্যবহার করতে পারবেন।
  • আমি কি IELTS স্কোর ইম্প্রুভ করতে আবার পরীক্ষা দিতে পারবো?

    • অবশ্যই! আপনি যতবার খুশি IELTS পরীক্ষা দিতে পারবেন। যদি আপনি মনে করেন আপনার স্কোর আরও ভালো হওয়া উচিত, তাহলে আবার প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে পারেন।
  • IELTS স্কোর কি সব দেশে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য?

    • IELTS স্কোর বিশ্বের প্রায় সব দেশেই গ্রহণযোগ্য, তবে কিছু কিছু দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং ভিসা কর্তৃপক্ষের নিজস্ব নিয়ম থাকতে পারে। তাই, আবেদন করার আগে তাদের ওয়েবসাইট থেকে বিস্তারিত জেনে নেওয়া ভালো।
  • কম IELTS স্কোর নিয়ে কোন দেশে যাওয়া যায়?

    • কিছু দেশে স্টাডি এবং ওয়ার্ক পারমিটের জন্য তুলনামূলকভাবে কম স্কোর প্রয়োজন হয়। এক্ষেত্রে, আপনার আগ্রহ এবং যোগ্যতার ওপর নির্ভর করে আপনি সেই দেশগুলো বিবেচনা করতে পারেন।
  • IELTS-এর বিকল্প কোনো পরীক্ষা আছে কি?

    • IELTS-এর পাশাপাশি TOEFL, PTE এবং Cambridge English exams-এর মতো আরও কিছু পরীক্ষা আছে, যেগুলো ইংরেজি ভাষার দক্ষতা যাচাইয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। তবে, IELTS সবচেয়ে বেশি পরিচিত এবং বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত।
  • IELTS লাইফ স্কিলস কী?

    • IELTS লাইফ স্কিলস হলো একটি বিশেষ পরীক্ষা, যা যুক্তরাজ্যে ফ্যামিলি ভিসা বা সেটেলমেন্ট ভিসার জন্য প্রয়োজন হয়। এই পরীক্ষায় Speaking এবং Listening দক্ষতার ওপর জোর দেওয়া হয়।
  • IELTS-এর জন্য কোচিং করা কি জরুরি?

    • কোচিং করা জরুরি নয়, তবে সঠিক দিকনির্দেশনা এবং নিয়মিত অনুশীলনের জন্য কোচিং সাহায্য করতে পারে। আপনি যদি নিজে প্রস্তুতি নিতে পারেন, তাহলে কোচিংয়ের প্রয়োজন নেই।
  • IELTS পরীক্ষা কি কঠিন?

    • IELTS পরীক্ষা কঠিন কিনা, তা নির্ভর করে আপনার ইংরেজি ভাষার দক্ষতার ওপর। নিয়মিত অনুশীলন এবং সঠিক প্রস্তুতি নিলে এই পরীক্ষায় ভালো স্কোর করা সম্ভব।
  • IELTS পরীক্ষার জন্য কতদিন প্রস্তুতি নেওয়া উচিত?

    • প্রস্তুতির সময়কাল আপনার বর্তমান দক্ষতার ওপর নির্ভর করে। সাধারণত, ভালো স্কোর করার জন্য ৩ থেকে ৬ মাস সময় নিয়ে প্রস্তুতি নেওয়া উচিত।

এই ছিলো IELTS স্কোর এবং বিভিন্ন দেশে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য। আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। আপনার ভবিষ্যৎ জীবনের জন্য শুভকামনা!

উপসংহার

তাহলে, “কোন দেশে কত IELTS স্কোর লাগে?” – এই প্রশ্নের উত্তর এখন আপনার হাতের মুঠোয়। মনে রাখবেন, আপনার স্বপ্ন পূরণের পথে IELTS একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ মাত্র। সঠিক প্রস্তুতি, আত্মবিশ্বাস, আর একটুখানি চেষ্টা আপনাকে পৌঁছে দিতে পারে আপনার স্বপ্নের ঠিকানায়।

যদি আপনার আর কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে নির্দ্বিধায় কমেন্ট সেকশনে জিজ্ঞাসা করুন। আর হ্যাঁ, আপনার বন্ধুদের সাথে এই ব্লগ পোস্টটি শেয়ার করতে ভুলবেন না, কারণ হয়তো তাদেরও এই তথ্যগুলো প্রয়োজন।

শুভকামনা!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *